বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে দেশটিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে ঢাকা। ঢাকা আশা করছে, নেপিডো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত নেবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে মিয়ানমারকে অভিনন্দন জানিয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বার্তায় মিয়ানমারের হীরক জয়ন্তীতে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশটির জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ ছাড়া নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণকর সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করা হয়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে বলা হয়, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হলে বাংলাদেশের ওপর থেকে চাপ কমবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল চার লাখের অধিক রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।
২০১৮ সালের নভেম্বর এবং ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়। এরপর আরও তিন বছর কেটে গেলেও এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করানো সম্ভব হয়নি। তবে ঢাকার পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক উপায়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পাঠকের মতামত